শরীয়তপুরের জাজিরায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ৬ জনের মধ্যে একই পরিবারের মা ও মেয়ের মরদেহ বরিশালে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর জানাজা শেষে বরিশাল নগরীর কলেজ রোড পারিবারিক কবরস্থানে মা জাহানারা বেগম (৫৫) ও মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমার (৩০) মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে বিকেলে তাদের মরদেহ বাড়িতে পৌছলে স্বজনদের আহাজারীতে হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
জাহানারা বেগমের ভাইর ছেলে রুবেল জানান, ওই দুর্ঘটনায় নিহত লুৎফুন নাহার লিমার বন্ধু মাসুদ রানার (৩০) লাশ দাফনের জন্য তার গ্রামের বাড়ি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় এবং তাদের নিকটাত্মীয় মো. ফজলে রাব্বির (২৮) পটুয়াখালীর বাউফলে পাঠানো হয়।
এছাড়া ওই দুর্ঘটনাকবলিত এ্যাম্বুলেন্সের চালক জ্বিলানী (২৮) ও হেলপার রবিউল ইসলামের (২৬) মরদেহ শরীয়তপুর পুলিশের কাছ থেকে স্বজনরা নিয়ে গেছে।
গত সোমবার দিবাগত রাতে নগরীর কলেজ রোড এলাকার জাহানারা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেরে বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে স্বজনরা। অবস্থা গুরুতর হলে ওই রাতেই তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন ডাক্তার। গভির রাতে এ্যাম্বুলেন্সে তাকে নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলো স্বজনরা। অসুস্থ জাহানারা বেগমের সাথে ছিলো মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা, লিমার বন্ধু মাসুদ রানা ও নিকটাত্মীয় মো. ফজলে রাব্বিসহ এ্যাম্বুলেন্স চালক ও হেলপার। ভোর ৪টার দিকে এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ৬ জনের সকলেই নিহত হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম