২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৩১

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে খানসামার সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে খানসামার 
সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত

দিনাজপুরের খানসামার মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদের (৫৩) বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। 
বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হোসেন আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্ত রিপোর্টে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগ ও শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ দীর্ঘদিন ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছেন। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছাত্রীদেরকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করে থাকেন। এসব অপকর্মের কথা অভিভাবকদের জানাতে চাইলে বেত্রাঘাত ও পরীক্ষায় ফেল করার হুমকি দিয়ে ছাত্রীদের জিম্মি করে রাখেন ঐ সহকারী শিক্ষক। শ্লীলতাহানির ঘটনা ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকরা জানতে পারলে ২৩ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে অবহিত করে বিচার দাবি করেন। কিন্তু এতেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা ২৫ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দেয়।

এছাড়াও এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ভূমিহীন সমিতির বাল্য বিবাহ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং সংবাদ সম্মেলন করে। এরই প্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারি উপজেলা শিক্ষা অফিস তদন্ত করে এবং ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুনানি করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠায়। তদন্ত রিপোর্টে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ বিধি অনুচ্ছেদ (খ) আওতাভুক্ত অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপী চাঁদ রায় বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সহকারী শিক্ষক সিরাজুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

খানসামা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদুল হক চৌধুরী জানান, এমন ঘটনা সত্যিই ন্যাক্কারজনক ও দুঃখজনক। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তা তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছিল। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তা যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর