রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া হরি পদ্মলোচন ঠাকুরের ২৮৯তম তিরোধান তিথিতে ১০ দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। আজ রবিবার ভোর থেকে এলাকাবাসীর আয়োজনে জেলার হরিঠাকুর অঙ্গনের দীঘিতে গঙ্গাস্নান শেষে এই মেলা শুরু হয়। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মেলায় ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য নানা বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। ছোট-বড় তিন শতাধিক দোকান, বাঁশ বেতের তৈরি গৃহস্থালী জিনিসপত্র, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, কসমেটিকস, খাবারের দোকান রয়েছে নরিয়ার মেলায়।
মেলায় আসা দর্শনার্থী অঙ্কিতা সাহা (৬৫) বলেন, আমি ৩৮ বছর ধরে মেলায় আসছি। ঠাকুরবাড়ির দীঘিতে স্নান করে ইলিশমাছ মিষ্টি ও পোড়াবাতাসা কিনলাম। এই মেলায় রাজবাড়ীর মধ্যে সবচেয়ে বড় মেলা।
মেলায় আসা বাঁশ-বেতের তৈরি পণ্যের বিক্রেতা পরিতোষ কুমার দাস বলেন, আমরা দুই যুগের বেশি সময় এখানে মেলা করি। মেলায় এক সময় বাঁশ-বেতের তৈরি ২০-৩০টি দোকান বসতো। বর্তমানে ৭টি দোকান আসছে। প্লাটিকের কারণে আমাদের শিল্পটা ধ্বংসের পথে। এরপরও আমরা মেলায় ৩০ ধরণের জিনিসপত্র এনেছি। সবই গৃৃহস্থালীর। আশা করছি এবার ভালো বিক্রি হবে।
শ্রী শ্রী হারিঠাকুর অঙ্গনের সেবাইত গোপাল ঠাকুর বলেন, করোনার পরে বড় পরিসরে এবারই প্রথম মেলা বসছে। সকাল থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ৩২ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হবে। রবিবার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। আগামী ১০দিন এই মেলা চলবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পুলিশের বিট অফিসার মো. টিটুল হুসাইন বলেন, আমার বিটের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী নলিয়ার মেলা শুরু হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। সত্যিকার অর্থেই এটি গ্রামীণ একটি মেলা।
বিডি প্রতিদিন/এএ