ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছররেও সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ২১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে কালিগঞ্জ উপজেলা ৮টি মহাবিদ্যালয়, ৩৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৫টি মাদ্রাসা ও ১২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি মহাবিদ্যালয় ১৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০ মাদ্রাসা ও ১১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যথাযথ ভাবে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিতে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অনেক স্কুল স্ব উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে। যে স্কুলে শহীদ মিনার নেই, সে সমস্ত স্কুল ভাষা দিবসের দিন পাশের স্কুলে যেখানে শহীদ মিনার আছে সেখানে শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা জানাতে যায়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরী করা সম্ভব। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহীদ মিনার নেই এমন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তালিকা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এস এম মমতাজ হোসেন মন্টু বলেন, শহীদ মিনার না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গৌরব উজ্জল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানার আগ্রহ হারাচ্ছে। এখনই সরকারকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন অভিভাবকসহ মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।
কালিগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ জানান, উপজেলার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল