শহীদ মিনার নেই তাই তাদের শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। ভাঁটসহ বিভিন্ন ফুল হাতে ঘোরাঘুরি করে ওদের সময় কেটেছে। এ দৃশ্য দেখা গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভয়েরপাড় চারুগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।
এই প্রতিবেদক মঙ্গলবার ওই স্কুলের পাশ দিয়ে যেতে দেখা যায়, কেউ সড়কের পাশের গাছ থেকে ভাঁটফুল, শিমুল ফুল ও মাচা থেকে কুমড়া ফুল সংগ্রহ করছেন। সংগ্রহের পর কেউ কেউ ফুল হাতে মাঠের পাশে বসে আছেন। কেউ ঘোরাঘুরি করছেন।
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী তাসনিম চৌধুরী নোভা বলেন, শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেয় বলে বই ও টিভির মাধ্যমে জেনেছি। তাই ফুল সংগ্রহ করি। কিন্তু শহীদ মিনার না থাকায় ফুল দিতে পারিনি।
৫ম শ্রেণির মো. ফাহিম বলেন, প্রতি বছর আমরা পথের পাশ থেকে ফুল কুড়িয়ে আনি। ফুল হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করে দুপুরে বাড়ি চলে যাই।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোসা. নাজমা আক্তার বলেন, আমাদের দেড়শ’র মতো শিক্ষার্থী আছে। শহীদ মিনার না থাকায় তারা ফুল নিয়ে এসে ফিরে যায়। শহীদ মিনার স্থাপিত হলে তারা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুর রহমান বলেন, স্কুলটি আমাদের ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য স্কুল কমিটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নান বলেন, জেলায় ২১১০টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে ১৫শ’র বেশি স্কুলে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকি গুলোতেও শহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে। স্থানীয় লোকজন ও স্কুল কমিটি উদ্যোগ নিলে শহীদ মিনার দ্রুত স্থাপন হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন