গোমতী নদীর চরে মাটি কাটা রোধে অভিযান পরিচালনা করেছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা অভিযানে ১৩টি মামলায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় সাতজন অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ সময় মাটিকাটা ট্রাক্টরকে ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। আতঙ্কে রাত কেটেছে তাদের। এই অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, গোমতী নদীর বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এতে ১৩টি মামলায় আট লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড এবং তিনজনকে ৫ দিনের ও ২ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হবিগঞ্জের বাহুবল গ্রামের জাকারিয়া, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের রাসেল। এই দু’জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আদর্শ সদর উপজেলার ভাটকেশ্বর গ্রামের আমান, কমলপুর গ্রামের বারেক, চৌয়ারা এলাকার ইউসুফকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডসহ পাঁচ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও মনশাসন এলাকার আলী হোসেন, বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর এলাকার মো. কুতুবউদ্দিন, শরিফপুর এলাকার মো. শফিক, একই এলাকার মো. জনিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও কুমিল্লা দত্তপুর এলাকার শাহ আলম, নীলফামারী জেলার কাঞ্চনপাড়া গ্রামের শরীফ আহম্মেদ, মঞ্জুরুল ইসলাম, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকার আবদুর রহিম, হবিগঞ্জের পুটিজুরি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, নির্বিচারে মাটি কাটায় নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে চরের কৃষি জমি। ভাঙছে সড়ক, বাড়ছে বায়ু দূষণ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত