চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে স্থানীয় এমপিকে প্রধান অতিথি করার প্রস্তাবে মাদরাসা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি অহেদুজ্জামান নিপুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
আহত শিক্ষক বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে গোমস্তাপুর উপজেলার কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসায়।
জানা গেছে, মাদরাসার উন্নতিকল্পে আসন্ন তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন নিয়ে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সভায় মাহফিলে স্থানীয় এমপি মুহাঃ জিয়াউর রহমানকে প্রধান অতিথি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শিক্ষক অহেদুজ্জামান নিপু। অন্যদিকে কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শামিউল ইসলাম শ্যামল প্রস্তাব করেন গোলাম মোহাম্মদ ফিটুর নাম। এ নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিপুকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে অফিসের ভেতর থেকে ফিটু ও শ্যামল বাইরে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান ও ফিটুর লোকজন নিপুনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় তিনি জ্ঞান হারালে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এদিকে আহত শিক্ষকের স্ত্রী ও একই মাদরাসার শিক্ষক সাবিহা খাতুন বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় ও আগামী ৬ মার্চ মাদরাসার উন্নতিকল্পে আয়োজিত তাফসির মাহফিল নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি বৈঠকে বসে। এ সময় কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি অহেদুজ্জামান নিপু তাফসির মাহফিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহাঃ জিয়াউর রহমানের নাম প্রস্তাব করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল ও গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ফিটু। তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও কাশিয়াবাড়ি আলিম মাদরাসার সভাপতি মো. শামিউল আলম শ্যামল মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাফসির মাহফিলে প্রধান অতিথির নাম প্রস্তাব করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা তাকে মারধর করেছেন।
এ ব্যাপারে গোমস্তাপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন