কিশোরগঞ্জ খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওএমএস চালের ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার কিশোরগঞ্জ দুদকের পাঁচ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানটি চালায়।
কিশোরগঞ্জ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহাথীর মোহাম্মদ সামী জানান, সাইদুর রহমান চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থেকে বদলি হয়ে বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলায় যোগদান করেন। কিশোরগঞ্জে দায়িত্বে থাকাকালীন সময় ওএমএস চালের ১২টি চালানে ১১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
অভিযানকালে দুদকের টিম দেখতে পায়, ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে ২৩টি চালানের বিপরীতে খাদ্য গুদাম থেকে চাল সংগ্রহের জন্য ডিলারদেরকে ডেলিভারি অর্ডার দেওয়া হয়। উক্ত চালানের বিপরীতে সরকারি কোষাগারে কোন অর্থ জমা না হওয়া সত্ত্বেও খাদ্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের স্বাক্ষর করা ডেলিভারি অর্ডারের মাধ্যমে ডিলাররা চাল সংগ্রহ এবং এবং ওএমএস এর মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রয় করেন।
সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম আরও দেখতে পায় যে, দীর্ঘদিন পর উক্ত চালানসমূহের মধ্যে কিছু চালানের বিপরীতে আত্মসাত করা অর্থ বিভিন্নভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। তবে অভিযান পরিচালনাকালীন সময় পর্যন্ত ১টি চালানের ৮৪ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট টিম বিভিন্ন কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গেছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় বলে দুদক সূত্র জানায়। কিশোরগঞ্জ দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম অভিযানে অংশ নেন বলে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ