ময়মনসিংহ নগরীর বাড়েরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আরমান আলী হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. রুমানকে (২১) গ্রেফতার কবেরেছ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বাড়েরা মসজিদ মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে বাড়েরা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার বিকালে পাঠানো র্যাবের সনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়োর হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানাননো হয়।
র্যাব জানায়, আরমান আলী ও রুমান পরস্পর আত্মীয়। ২০১২ সালের দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রুমানের বড় ভাই আলমগীর হোসেন (২৭) খুন হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। উভয়পক্ষের মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে মরাকুড়ি বাজারে দরবার বসে ও একপর্যায়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। ২০১৪ সালের ১০ জুন রুমান ও তার লোকজন ছাত্রলীগ নেতা আরমান আলীকে (২৮) মসজিদ মার্কেটের সামনে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আশেপাশের লোকজন আরমানকে উদ্ধার করে অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন আরমানের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় রোমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে আসামি রুমান আত্মগোপনে ছিল।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম