সুপার ও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে বগুড়ার শেরপুরে মধ্যভাগ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২০ ছাত্র-ছাত্রীর এবারের দাখিল পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সঠিক সময়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ বাবদ ফি ও তথ্য নিয়েও মাদ্রাসার সুপার আকবর আলী মাদ্রাসা বোর্ডের দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করেননি। তাই আগামী রবিবার থেকে অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে পাননি ওই সব ছাত্র-ছাত্রীরা। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে ফর্ম পূরণ করলেও, এখনও কেন তাদের প্রবেশপত্র আসেনি এই কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোনো সদুত্তর পাননি। এজন্য মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষকদের গাফিলতিকেই দায়ি করেন তারা।
শেরপুর উপজেলার মধ্যভাগ মাদ্রাসার সুপার আকবর আলী বলেন, আমি এখন (মাদ্রাসা বোর্ড) ঢাকায় আছি। বোর্ডের নির্দেশনা মতো, মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহেলার কথা উল্লেখ করে (শিক্ষার্থীদের নাম, পিতা-মাতার নামসহ) অঙ্গীকারনামা দিয়েছি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আমাদের গাফিলতির বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সেইসঙ্গে শনিবারের মধ্যে প্রবেশপত্রগুলো আমরা পেয়ে যাব বলে আশা করছি। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে গাফিলতির কথা স্বীকার করে এই মাদ্রাসা সুপার বলেন, মাদ্রাসাটি ননএমপিও হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষক পরিবারের খরচ মেটাতে নানা ধরনের কর্মে ব্যস্ত থাকেন। তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ রং মিস্ত্রি এমনকি অটো চালকও রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল