পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। শুক্রবার দিনভর উপজেলার রামনাবাদ, আগুণমুখা ও বুড়া গৌরঙ্গ নদীর তীরবর্তী এলাকা, আবাসন, বেড়িবাঁধের বাইরের লোকালয়, লঞ্চঘাট, খেয়াঘাট ও ফেরিঘাটে মাইকিং করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
এছাড়াও বিকাল থেকে সিপিপির সদস্যদের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় মাইকিং করা হয়। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর পর থেকে উপজেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং সিপিপির সদস্যদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার রাতে পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঝড়ো হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়ছে ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, উপজেলার ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র (সাইক্লোন শেল্টার) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদি পশু-পাখির জন্য তিনটি মুজিব কেল্লাও তৈরি আছে। পাশাপাশি শুকনা খাবার, পানি, স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ কমিটির সদস্যদের নিয়ে ইতিমধ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কবল থেকে মানুষকে বাঁচাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই