৮ জুন, ২০২৩ ২১:১৬

স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তার দাবিতে ব্যবসায়ীদের অবস্থান ধর্মঘট, তিন মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায়  নিরাপত্তার দাবিতে ব্যবসায়ীদের অবস্থান ধর্মঘট, তিন মামলা

নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ী নেতারা।

লক্ষ্মীপুরে ফিল্মি স্টাইলে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দোকানপাট বন্ধ রেখে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাজুস লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলার প্রায় ৫ শতাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী একযোগে এ কর্মসূচি পালন করেন। অবস্থান ধর্মঘট শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারক লিপি দেন ব্যবসায়ীরা।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে বাজুসের জেলা শাখার সভাপতি হরিহর পাল বলেন, ঘটনার পর লক্ষ্মীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য এ অবস্থান কর্মসূচি। একই সাথে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। একই দাবি জানান সাধারণ ব্যবসায়ীরাও। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাজুস জেলা শাখার সহসভাপতি অপূর্ব লাল রায়, সহসম্পাদক প্রদীপ কুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রঘু কর প্রমুখ।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে বাজুস নেতৃবৃন্দ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে পৃথক স্মারকলিপি দেন। এ সময় জেলা শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকার শৃঙ্খলা উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এদিকে দুপুরে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজ্জামান আশরাফ ঘটনাকবলিত দোকানসহ ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনায় কিছু লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়েছে। দু’জন ডাকাত আটক আছে। ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার আরকে শিল্পালয়ে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দোকান মালিক বাজুস সদস্য ও তার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।  মুখোশ পরিহিত দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। এ সময় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের ইটের পুল এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত পিকআপভ্যান চাপায় জবিউল্যাহ মিয়া নামে এক পথচারী নিহত হন। আহত হন আরও দুইজন। বিভিন্ন স্থান থেকে অবিস্ফোরিত বেশ কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় সদর থানায় পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। সদর থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ও বিস্ফোরক আইনে ২টি মামলায় পুলিশ ও অপর মামলায় (ডাকাতির) আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে প্রান্ত বাদী হয়েছেন। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর