গাজীপুরের শ্রীপুরে শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে বাস থেকে লাথি দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় গাড়ির কন্ডাকটরকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল পৌনে ৭টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রঙ্গিলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম (৬৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৫৫) আহত হয়েছেন। এঘটনায় গাড়ির কন্ডাকটর ময়মনসিংহ জেলার শম্ভুগঞ্জ এলাকায় মো. সুমন মিয়ার ছেলে মো. হৃদয়কে (১৯) আটক করেছে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহতের স্বজন কাজী নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার নিহত শহিদুল ইসলাম স্ত্রীসহ তার অসুস্থ ভায়রাকে দেখতে মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় বেড়াতে যান। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পাড় হওয়ার সময় মাওনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি হাইওয়ে মিনি বাস শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা খাতুনকে ধাক্কা দেয়। এতে শহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে চালকের সাথে কথা কাটাকাটি করতে করতে মিনিবাসে গিয়ে উঠলে মিনিবাসটি চালাতে শুরু করে চালক। কিছুদূর যাওয়ার পর শহিদুল ইসলামকে গাড়ি থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয় মিনিবাসের হেলপার। এসময় শহিদুল ইসলামের পড়নের লুঙ্গি গাড়ির একটি হুকের সাথে আটকে যায়। ওই অবস্থায় তাকে টেনেহিঁচড়ে কিছু পথ নিয়ে গেলে শহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সাহেরা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় গাড়ির কন্ডাকটরকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল