রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তৃতীয় ‘মেড ইন পাকিস্তান’ প্রদর্শনী। পাঁচ দিনের এ প্রদর্শনীতে বিভিন্ন খাতের ১০০টির বেশি পাকিস্তানি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার এবং ব্যবসায়িক অংশীদারি বৃদ্ধি করা। ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গতকাল আইসিসিবির ১ নম্বর হল গুলনকশায় এ মেলা শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাসান আরিফ, সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সিবিশন ইন্ডাস্ট্রির (পিএইআই) চেয়ারম্যান ফাহাদ বারলাস, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান এম. খুরশিদ বারলাস, রাওয়ালপিন্ডি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি উসমান শওকত, পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মদ ওয়াসিফ প্রমুখ। পিএইআইয়ের চেয়ারম্যান ফাহাদ বারলাস বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এ আয়োজন হচ্ছে। এবার পোশাক, খাদ্য, অ্যাকসেসরিজসহ নানান খাতের প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গত দুই দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক এগিয়েছে। যদি এফটিএ বা পিটিএ বাস্তবায়ন করা যায় তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ করা সম্ভব।’
পিএইআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক চেয়ারম্যান এম. খুরশিদ বারলাস বলেন, ‘সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক মিল থাকলেও আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনো সীমিত। অথচ আঞ্চলিক ভোক্তাবাজারের আকার অনেক বড়। যথাযথ উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য বছরের মধ্যে ১০ গুণ বৃদ্ধি সম্ভব।’
এসসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ প্রদর্শনী শুধু বাণিজ্য মেলা নয়, বরং দুই দেশের সংস্কৃতি ও শিল্পের বিনিময়ের গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। ট্যুরিজম, সেবা খাত ও ফিনটেকেও যৌথ উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।’ ইপিবি চেয়ারম্যান হাসান আরিফ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে, যা মোট রপ্তানির মাত্র ৪ শতাংশ। পাকিস্তানি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নতুন অনেক সম্ভাবনার দিক উঠে এসেছে। এখনই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর উপযুক্ত সময়।’ প্রদর্শনীতে তৈরি পোশাক, কসমেটিকস, ক্রীড়াসামগ্রী, গয়না, খাদ্য ও পানীয়, চামড়াজাত পণ্য, সুগন্ধিসহ নানান ধরনের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।