পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার যুবক রতন ঢালী (২৫)। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। যারা তাকে এ কাজে জড়িত করেছে, তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
জানা গেছে, উপজেলার হরিশ্চর গ্রামের আনোয়ার ঢালীর চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় রতন ঢালী। তিনি ঢাকার খিলগাঁওয়ের একটি মেডিকেল সেন্টারে কাজ করতেন। গত বছরের ২৭ মার্চ সহকর্মী ফয়সালকে নিয়ে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান। সেখান থেকে তারা অবৈধভাবে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে গিয়ে টিটিপিতে যোগ দেন। সর্বশেষ ১০ এপ্রিল পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে রতনের কথা হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে রতন নিহত হন। নিহত রতনের বাবা আনোয়ার ঢালী জানান, রতন বলেছিল সে ভারতে আছে, শিগগিরই দুবাই যাবে। কয়েক দিন আগে পুলিশ তাদের বাড়িতে এসে রতনের নিহত হওয়ার খবর জানায়। রতন কীভাবে পাকিস্তানে গেল বা টিটিপিতে যোগ দিল, তা তাদের জানা নেই। যারা তাকে এ কাজে জড়িত করেছে, তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মুকসুদপুর থানার সিন্ধিয়াঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আলমগীর মিয়া বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রতনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। আমরা তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিই। কীভাবে পাকিস্তানে গেছেন, তা রতনের বাবা জানাতে পারেননি। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানতাম না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি।