কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছয়দিনের মাথায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে বিএনপি ১২ নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর ও বের কালোয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি বকুল বিশ্বাস। কালোয়া বাজার এবং পদ্মা নদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তার সাথে ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাশিদুল ইসলাম ও যুবদল নেতা সালমান এফ রহমানের দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে গত ১ নভেম্বর কালোয়া বাজারে দুইপক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে বেশকিছু ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষ থানায় মামলা করে। এ নিয়ে বিরোধের জেরে শুক্রবার আবারও বকুল বিশ্বাস অনুসারী নেতাকর্মীরা রাশিদুল গ্রুপের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে হামলার পর গ্রাম দুটিতে স্থানীয়দের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
যুবদল নেতা সালমান এফ রহমানের বাবা কয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি বলেন, আমরা বিএনপি করি। এতোদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজী করেছে। এখনও চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। হামলায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপি নেতা রাশিদুল ইসলাম বলেন, বকুল ও সালমান পদ্মায় চাঁদাবাজী করার জন্য এলাকায় অশান্তি করছে। বকুল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের ১২ টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় একমাসে তিনবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার থেকে পাঁচটি মামলা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা বকুল বিশ্বাস বলেন, রাশিদুল ও সালমান পদ্মায় চাঁদাবাজী করার জন্য এলাকায় অশান্তি করছে। প্রায় আমার লোকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। শুক্রবার ফের হামলা চালালে আমার লোকজন পাল্টা ধাওয়া করে। তবে কারো বাড়িতে ভাঙচুর বা লুটপাট করা হয়নি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল