ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
২৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন।
জাতিসং সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের মধ্যে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলেও যুক্তরাষ্ট্র এর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এর তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প বৈঠকে একটি শান্তি প্রস্তাব ও যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা শাসন কাঠামোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলোচনায় জিম্মি মুক্তি, যুদ্ধের অবসান, ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও হামাস-বহির্ভূত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয় গুরুত্ব পাবে।
ওয়াশিংটন চাইছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী সেনা পাঠাক, যাতে ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার করতে পারে। একইসঙ্গে গাজা পুনর্গঠন ও স্থানান্তরকালীন খরচের জন্য অর্থায়নেও দেশগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বহু পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের মতো দেশগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, শান্তির একমাত্র পথ হলো দুই-রাষ্ট্র সমাধান।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত