ইরানে আটটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে রাশিয়া। এ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং চলতি সপ্তাহেই তাতে স্বাক্ষর করবে মস্কো ও তেহরান।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের বাদানুবাদের মধ্যেই দেশটিতে এই উদ্যোগ নিচ্ছে রাশিয়া।
ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ইরনাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত রবিবার এক সরকারি সফরে মস্কো গিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ এসলামি জানান, এর আগে তেহরানকে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো এবং তেহরান তাতে সম্মতি দেয়। এ ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনার জন্যই মস্কো গিয়েছেন এসলামি এবং এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেই তেহরানে ফিরবেন তিনি।
রাশিয়ার প্রস্তাবিত আটটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২০ গিগাওয়াট অর্থাৎ ২০ হাজার মেগাওয়াট।
প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। ৎ
গত ৬ জুন জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ইরানের কাছে ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত আছে এবং সেগুলো ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ। এই বিশুদ্ধতার মান যদি ৯০ শতাংশে উন্নীত করা যায়, তাহলে অনায়াসেই তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের ছয়দিনের মধ্যে ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েল এবং পরে তাতে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্রও। ১২ দিনের সেই অভিযানে ইরানের পরমাণু স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
তবে ইরানের সেই ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম কোথায় আছে, তা এখনও জানা যায়নি। অভিযানের পর থেকে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে যখন বাদানুবাদ চলছে ইরানের, সে সময়েই দেশটিতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়া। সূত্র: রয়টার্স, মস্কো টাইমস, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ