বরিশালের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চর ও নিম্নাঞ্চল। এতে ফসলের ক্ষেতও তলিয়ে যাচ্ছে। পূর্ণিমার জো এবং উত্তরাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে নদী পানি বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি বঙ্গোপসাগরে নামার সময় দক্ষিনাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
সপ্তাহখানেক আগেও বরিশালের নদ-নদীর পানি ছিলো স্বাভাবিক। গত ৩-৪ দিন ধরে জোয়ারের সময় বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি অনেক বেড়ে যায়। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করে। প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে দুই বার জোয়ারের সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। ফসলের ক্ষেতেও প্রবেশ করছে জোয়ারের পানি। আগামী দিনে নদীর পানি আরও বেড়ে যাওয়ার আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সব শেষ জোয়ারের সময় জেলার হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ পয়েন্টে মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। একই সময় কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবাহিত হয় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে।বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পূর্ণিমার জো এবং উত্তরাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে বরিশালের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। এ কারণে নদীর পানি বৃদ্ধিতে তেমন জনদুর্ভোগ হয়নি। উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি বঙ্গোপসাগরে নামার সময় বরিশালের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ কারণে আগে থেকেই বিভিন্ন বেড়িবাঁধ নজরদারি করছেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল