২১ আগস্ট, ২০২৩ ০৯:১৭

কুমিল্লায় নতুন জাতের ধানে খুশি কৃষক

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় নতুন জাতের ধানে খুশি কৃষক

কুমিল্লার দেবিদ্বারে আউশ মৌসুমের নতুন জাত ব্রি ধান-৯৮ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। এ বছর ১০৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে জাতটি। ব্রি ধান-৯৮ সম্প্রসারণের ফলে প্রায় ৯৪১ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রমতে, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি, এনএটিপি-২ ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্প ও রাজস্ব খাতের প্রদর্শনী বাস্তবায়নে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ব্রি ধান-৯৮ জাতটি। এতে কৃষক পর্যায়ে পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষণ সম্ভব হবে, যা আগামী বছর জাতটির বিস্তারে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া বিএডিসি বীজ ডিলারদের ১ টন করে বীজ উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। মৌসুম শেষে ধান ঘরে উঠতে শুরু করেছে। বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১৮ থেকে ২০ মণ। অপরদিকে আউশ মৌসুমের প্রচলিত জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান-৪৮ এর ফলন পাওয়া যাচ্ছে বিঘা প্রতি সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ মণ। গত বছর উপজেলার ৩টি গ্রামে মাত্র ২ হেক্টর জমিতে ব্রি ধান-৯৮ এর পরীক্ষামূলক চাষ হয়েছিল। ব্রি ধান-৯৮ সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে মোহনপুর ইউনিয়নে। 

মোহনপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম মোস্তাফা, আব্দুস সামাদ, আবুল কালাম প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন ব্রি ধান-৯৮ জাতটি। প্রচলিত সকল জাতের থেকে ফলনের বেশি ও আকার আকৃতিতে চিকন হওয়ায় বেশ খুশি তারা। ধান চিকন হওয়ায় দামেও সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানান তারা। ব্রি ধান-৪৮ এর চেয়ে অন্তত মণ প্রতি ধানের মান ভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি পাওয়া যাবে।

মোহনপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. সুলতান আহম্মেদ জানান, এর আগে মোহনপুর ইউনিয়নে ব্রি ধান-৯৮ চাষ হয়নি। মৌসুমের শুরুতে আউশ ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রমের অংশ হিসাবে জাতটি নিয়ে কাজ শুরু করি। মোহনপুর ইউনিয়নে আউশের জমি বৃদ্ধির সুযোগ নেই, তাই জাত পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিয়েছি। প্রথম দিকে প্রচণ্ড খরা আর তাপদাহে কৃষকেরা কিছুটা হতাশ ছিলেন, তবে সেচের ব্যবস্থা হতেই ধানের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, ২০২১ সাল থেকে ব্রি ধান-৯৮ জাতটি সম্পর্কে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাত পরিবর্তনের মাধ্যমে আউশের ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনার অংশ হিসাবে দেবিদ্বার উপজেলায় যোগদানের পরই কাজ শুরু করি। প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে উপসহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন। নতুন করে ২৩৭ হেক্টর জমি আউশের আওতায় এসেছে। আগামীতে ব্রি ধান-৯৮ আউশ মৌসুমের মেগা ভ্যারাইটি হতে যাচ্ছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর