ঘূর্ণিঝড় হামুন’র প্রভাবে কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়ায় গত দুইদিন ধরে গুড়িগুড়ি বুষ্টি হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে দুই উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন সমূহের জনসাধারণকে মাইকিং করে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী, কোনখালী, সাহারবিল, পশ্চিম বড় ভেওলা, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন ও পেকুয়া উপজেলার মগনামা, টৈটং, উজানটিয়া ইউনিয়ন এর জনসাধারণকে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ও ভোলান্টিয়াদের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কৃষক আলী আহমদ বলেন, দুইদিনধরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে শীতকালিন সবজির প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে পানি জমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির গাছের চারা পঁচে যাবে। এতে কৃষকের যেমন ক্ষতি হবে, দামও বাড়বে সবজিসহ কৃষি পণ্যের।
অপরদিকে দুইদিন ধরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ দিনমজুর ও শ্রমিকরা অলস সময় কাটাচ্ছে। অনেককে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতেও দেখা যায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, উপজেলার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। একইভাবে সাইক্লোন শেল্টারগুলোকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুর্বিতা চাকমা বলেন, উপজেলার সমুদ্রের পাশ্ববর্তী ইউনিয়নসমুহের চেয়ারম্যানদের মাধমে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম