বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে ছয় কিশোর-কিশোরী। বুধবার বিকেল ৪টা থেকে দিবাগত রাত ১টার মধ্যে একদিনেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছিল ৩টি বাল্যবিবাহের প্রস্তুতি। এসব বাল্যবিবাহের খবর পৌঁছে যায় উপজেলা প্রশাসসেনর কাছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম পরপর তিনটি বিবাহস্থলে উপস্থিত হয়ে তা বন্ধ করে দেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকদের অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর সোনাতলা গ্রামে মেয়ের বাড়িতে স্থানীয় একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪) সাথে একই ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামের ওয়ার্কশপে কর্মকর্ত ১৫ বছরের কিশোরের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হলে যে যার মতো পালানোর চেষ্টা করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের মাকে ৮ হাজার টাকা এবং ছেলের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিন রাত ১০টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪) সাথে মেয়ের বাড়িতে চরছিল খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া বটতলা গ্রামের ১৭ বছরের কিশোরের বিয়ের আয়োজন। ওই বিবাহটিও বন্ধ করে মেয়ের মাকে ৭ হাজার টাকা এবং ছেলের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ওইদিন বিকেল ৪টার দিকে রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রীর (১৬) সাথে একই ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের ১৭ বছরের কিশোরের চলছিল বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা। বিবাহস্থলে উপস্থিত হয়ে তাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এখানেও ভ্রাম্যমাণ আদালমের মাধ্যমে মেয়ের মাকে ৮ হাজার টাকা এবং ছেলের বাবাকে ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এসময়ে ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকরা সন্তানদের প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ না দেওয়ার অঙ্গিকার করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম