নোয়াখালীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) আহবায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। একপক্ষ অপর পক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাদের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এখন দুই শিবিরে বিভক্ত।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপের) নবগঠিত জেলা আহবায়ক কমিটি প্রতিপক্ষের সাবেক কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বাচিপের নবগঠিত জেলা কমিটির আহবায়ক ডা: এফ এম শাহাদাৎ হোসেন (রোমেল) ও সদস্য সচিব ডা: আবদুস সাত্তার ফরায়েজী, অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ই অক্টোবর তারিখে স্বাচিপের ৬ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিল করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রিয় কমিটি। কিন্তু বাতিল কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রত্যক্ষ মদদে সম্মিলিত চিকিৎসক পরিষদ ব্যানারে মানববন্ধন করে আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে, এই সময় সাবেক কমিটির সদস্যরা অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। আহবায়ক কমিটির (তারা) মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটির টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য ও বদলি বানিজ্য এর প্রতিবাদ জানান। এ সময় নব গঠিত কমিটির সদস্য ডা. এম এ রহিম, ডা. স্বপন দাস, ডা. পার্থ সারথী মজুমদার, ডা. মোঃ মমিনুল ইসলাম, ডা. এনামুল কবির ও নুসরাত শহীদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে আহবায়ক কমিটিকে প্রতাখ্যান করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সামনে জেলায় কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যানারে সাবেক কমিটির নেতা ডা. ফজলে এলাহী ও ডা. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এ সময় বক্তাগণ অভিযোগ করেন নোয়াখালীতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু গত ১৮ অক্টোবর কেন্দ্রিয় কমিটি জেলার কারো সাথে আলোচনা ছাড়াই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নোয়াখালীতে স্বাচিপের একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে। ঘোষিত কমিটিতে নারী নির্যাতন মামলার আসামিসহ বিতর্কিত অনেককে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। প্রতিবাদ সমাবেশে স্বাচিপের বিতর্কিত আহবায়ক কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ