শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশের আগে নওগাঁয় বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক একেএম রওশন উল ইসলামসহ যুবদল ও ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে দুই দিনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতার অপর তিন নেতাকর্মী হলেন নওগাঁ পৌর যুবদলের সদস্য খন্দকার রাসেলুজ্জামান, আত্রাই উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক রাসেল আহমেদ। এর আগে গত বুধবার নওগাঁ সদর, মান্দা ও পোরশা থানা এলাকা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ বলছে, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, শনিবারের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। যাদের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে, তাদের ধরে এনে পুরোনো গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বাসে ওঠার আগ মুহূর্তে শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার নওগাঁ সদর, মান্দা ও পোরশা থানা এলাকা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতাকর্মীকে আটক করে পূর্বেূর গায়েবী মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, মহাসমাবেশকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। তবে এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। ধরপাকড় ও বাধা দেওয়ার আশঙ্কায় নওগাঁ থেকে ইতোমধ্যে বহু নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। সকল বাধা উপেক্ষা করে মহাসমাবেশ সফল করতে আরও অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছাবেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ