পর্যটন মৌসুম চললেও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কুয়াকাটা সৈকত এখন পর্যটক শূন্য। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকাল থেকে সৈকতের জিরো পয়েন্টসহ পর্যটন স্পটগুলোতে বিরাজ করছে নিরবতা। খালি পড়ে আছে সৈকতে রাখা ছাতা ও বেঞ্চি। এছাড়া ফটোগ্রাফার, স্পিড বোড চালক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন। বুকিং নেই হোটেল মোটেলের কক্ষ। মৌসুমের শুরুতেই এভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। অভ্যন্তরীণ রুটে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কুয়াকাটা থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার অধিকাংশ বাস। তবে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী মো. লিটন খান বলেন, মঙ্গলবার থেকেই পর্যটক না থাকায় তাদের বেচা বিক্রিও নেই। অপর এক ব্যবসায়ি মো. নুর হোসেন জানান,পর্যটক আসছে না তাই কারও কাছে বেঞ্চ ভাড়া দিতেও পারছি না।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, এখন কোনো হোটেলের আগাম বুকিং নেই। এভাবে চলতে থাকলে বড় লোকসানে মুখে পড়বে হোটেল ব্যবসায়ীরা।
মহিপুর থানার ওসি মো.ফেরদৌস সোহাগ জানান, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের পুলিশ চেকপোস্ট রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা তৎপর রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএ