নেত্রকোনার স্থানীয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি। তবে খুচরা বিক্রিতে দাম রাখছে বেশি অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে জেলার বাইরে থেকে আসা সব ধরনের সবজির দাম এখনো বাড়তি বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। বাড়তি দামের কারণ হিসেবে যোগানে সংকট থাকার কথা জানিয়েছেন আড়তদাররা।
তবে সবজির জোগান বেশি থাকলে দাম কমে যায়, জোগান কম থাকলেই দাম বেড়ে যায় বলে জানান তারা। অবরোধের কারণে গাড়ি কম আসলেই সবজির বাজারে এ ধরনের দাম ওঠানামা করে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
শহরের ছোট বাজার সুপার মার্কেটের সামনের সড়কের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুম আসতেই নেত্রকোনায় বেড়েছে শীতকালীন সব ধরনের সবজি। তবে খুচরা বাজারে গিয়ে বাড়ছে সবজির দাম।
পাইকাররা জানান, জেলার বাইরে থেকে আসা সবজির দাম এখনো বাড়তি রয়েছে। কিন্তু আড়ত থেকে নেওয়ার পর খুচরা পর্যায়ে বিক্রেতারা অধিক দাম রাখায় দোষ পড়ছে সকল কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীদের উপরে।
বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নেত্রকোনার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মেছুয়া বাজারে বেগুন গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজি ১০ টাকা বাড়তি। ধনিয়া পাতাও একশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে।
তবে দাম কমে পেপে ১৮ থেকে ২০ টাকা, লাল শাক ১৬ থেকে ১৮ টাকা, মুলা শাক ১০ থেকে ১২ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে শিমের দামও কিছুটা বাড়তি। যা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বরবটিও যাচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতা জামাল উদ্দিন জানান, তিনি গত সপ্তাহে ১৭ টাকা কেজি বেগুন কিনেছিলেন। রবিবার ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা হয়ে গেছে।
পাইকার মো. শাহজাহান ও আব্দুস সালাম জানান, এখানে অবরোধের তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে যেদিন সবজি কম আসে, সেদিন কিছুটা দাম বাড়তি থাকে। এ ছাড়া স্থানীয় সবজিগুলো এখান থেকে কমে কিনে খুচরা দোকানিরা বাড়িয়ে বিক্রি করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই