ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন স্থানে সড়কে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ঝড় ও বাতাসে ৫৫ হেক্টর জমিতে পাকা ও আদাপাকা ধান নুয়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতি সাধন কয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাক ও সবজির।
বাতাসে বিদ্যুতের লাইনে ৫০টির বেশি খুঁটি ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ বিদ্যুতের লাইনের উপর ভেঙে পড়ায় জেলার বেশিরভাগ এলাকায় রাত ১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিলো না। শনিবার দুপুর নাগাদ বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা যায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজীর উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের আঘাতে বেশকিছু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছিল। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা জরুরি ভিত্তিতে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছেন। জেলায় অন্তত ৫৫ হাজার হেক্টর আমনের পাকা-আদাপাকা ধান জমিতে হেলে পড়েছে।
এদিকে ফেনী-পরশুরাম সড়কের কাজিরবাগ ইউনিয়নে গাছ ভেঙে পড়ে সড়ক কিছু সময় যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর ফায়ার সার্ভিস তা অপসারণ করে সচল করে। ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ও নোয়াপুর সড়কে গাছ পড়ে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন ও মানুষ চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়াও উত্তর শ্রীপুর গ্রামের মো. শাহ আলম এর রান্নাঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি নির্মানাধীন মসজিদের টিনের চাল উপড়ে যায়। খবর পেয়ে ফুলগাজী ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট গাছগুলো কেটে অপসারণ করে চলাচলের উপযোগী করে দেয়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
কৃষি বিভাগ জানায়, জমিতে হেলে পড়া ধান জরুরী ভিত্তিতে ধান কেটে ঘরে তুলতে হবে। বৃষ্টি হলে ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকরা। ঝড়ের কারণে ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও রবিশস্য আবাদ পিছিয়ে যেতে পারে।
এদিকে ফেনী পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন খাঁন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজা বাড়িতে একটি গাছ ভেঙে পড়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছে। তাছাড়া ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি স্থানে গাঠ পড়ে চলাচল বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় গাছগুলো সড়ানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম