লক্ষ্মীপুরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেলে আয়েশা আক্তার নেহা (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেবে বলে আয়েশার বাবা আলমগীর হোসেন ও মা নাজমা বেগম পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আমান উল্লাহপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আয়েশা সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আমান উল্লাহপুর গ্রামের সৈয়দ হাফেজ সাহেবের বাড়ির আলমগীর হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
থানা পুলিশ জানায়, আয়েশার সঙ্গে সদরের পার্বতীনগর ইউনিয়নের চরমকরধ্বজ গ্রামের তাজল ইসলামের ছেলে বাহার উদ্দিনের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিয়ের আয়োজনের সকল প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিয়েতে রাজি নয় আয়েশা। এতে তার এক আত্মীয়ের সহযোগীতায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধে অনুরোধ জানানো হয়। পরে সদর থানা পুলিশের (এসআই) আবদুল হান্নান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় মেয়েকে বাল্য বিয়ে না দিতে নিষেধ করেন। বাল্যবিয়ে দিলে বর ও কনে পক্ষের লোকজনকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে আয়েশার মা ও বাবার কাছ থেকে মেয়েকে বাল্য বিয়ে দেবে না প্রতিশ্রুতিতে মুচলেকা নেওয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে বাল্যবিয়ে না দিতে অভিভাবকদের বলা হয়েছে। তারাও মুচলেকা দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম