হাড় কাপানো শীতে বিপর্যস্ত বরিশালের জনজীবন। বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। তীব্র শীতে বিশেষ করে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৯টায় বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৫ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। গত শনিবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিলো মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে শুক্রবার বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলনি বরিশালে। এ কারণে শীত অনুভূত হয় আরও বেশি।
হঠাৎ করে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বরিশালের জনজীবন। অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাটে মানুষ জনের চলাচল কম। বিশেষ করে দিনমজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। তারপরও পেটের দায়ে কাজে নামতে হয়েছে তাদের।
এদিকে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পোশার মানুষ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিকিকিনি হচ্ছে শীত কাপড়।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের প্রধান বশির আহমেদ জানান, তীব্র শীতের কারণে বরিশালসহ আশপাশের এলাকায় দুপুর পর্যন্ত এমনকি সারা দিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। আগামী ৩-৪ দিন পর বৃষ্টিসহ বজ্র বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন