যমুনা পাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জে তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। কুয়াচ্ছন্নতায় ঢেকে পড়েছে প্রকৃতি। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতে স্বাভাবিক কর্মজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এমন আবহাওয়া আরও দু’একদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, শীতজনিত রোগে প্রতিদিন শতশত রোগী হাসপাতালে ভিড় করছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। সেই সঙ্গে বইছে মৃদু হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক শ্রমজীবী মানুষ। তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজের উদ্দেশে বের হলেও তারা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। রিকশা-ভ্যানচালকরা পাচ্ছেন না ভাড়া। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫শত রোগী হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসছে। এর মধ্যে শতকরা ৩৫ ভাগ রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। তিনি বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে সব সময় গরম কাপড় ও শারিরীক যত্ন নিতে হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান জানান, শীত নিবারনের জন্য ইতোমধ্যে জেলায় ৫০ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে সর্বনিম্ন আবহাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় আরো দু’একদিন সিরাজগঞ্জ জেলা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
বিডি প্রতিদিন/এএম