নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ৮২৬ আসামিসহ ছিনিয়ে নেওয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে জুয়েল ভূঁইয়া (২৬) নামে আরো এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫টি অস্ত্র উদ্ধার, লুট হওয়া হ্যান্ডকাফ এবং প্রায় ১১শত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলার কাপাশিয়া উপজেলার বরুয়া এলাকা থেকে জুয়েল ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শিবপুর উপজেলার কাজিরচর গ্রামের মো. আবুল ভূঁইয়ার ছেলে। তার আগে কারাগার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীরা গত শুক্রবার কারাগারে অগ্নি সংযোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা ডিসি অফিস, এসপি অফিস, আদালত পাড়াসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলার ও অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করে। তারা কারাগার থেকে লুট করা অস্ত্র ও গুলি দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। নরসিংদী জেলা পুলিশের সদস্যরা জীবনবাজী রেখে তাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধ করে সরকারি সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধীদের হামলায় পুলিশের চার সদস্য গুরুতরসহ ৩৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক পুলিশের মাথায় ৭৫টা সেলাই লেগেছে। একজনের অবস্থা এখনো গুরুতর।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পরপরই লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনি অভিযানে নামে পুলিশ। মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি মরণঘাতি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ৪৫টি অস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শর্টগান রয়েছে। ১ হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কারাগারে হামলার ঘটনায় পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাছাড়া এই পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া ৪৮১জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ