রংপুর অঞ্চলে বেশ কয়েকদিন থেকে চলছে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির পাশাপাশি এই অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। চলতি মাসে রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শুক্রবার। এই দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ধরনের বিরূপ আবহাওয়ায় ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন রোগবালাই। সর্বত্রই অস্বস্তি ভাব বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬/৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে, জনজীবনে হাঁসফাঁস উঠেছে। বৃষ্টির সময় কিছুটা ঠাণ্ডা আমেজ থাকলেও বৃষ্টির রেশ কেটে গেলে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে এমন আবহাওয়া বিরাজ করছে এই অঞ্চলে। ফলে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মানুষজন জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিরূপ আবহায়ার শিকার হচ্ছে শিশু এবং নারীরা বেশি। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি চিকিৎসকদের চেম্বারে রোগীদের ভিড় বেড়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে নগরী ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং কারফিউ শিথিল হলেও গরমের কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
রংপুরে চলতি মাসে গড় তাপমাত্রা ৩৩ থেকে প্রায় ৩৮ ডিগ্রির মধ্যেই ওঠানামা করছিল। বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হলেও সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। দেখা দেয় তাপদাহের। এ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রংপুরে ৩৯ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল