নীলফামারীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দুই উপজেলায় সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরে একটি ও সৈয়দপুরে তিনটি রয়েছে। তবে সৈয়দপুরে খোয়া গেছে দুটি রাইফেল ও একটি রিভলবার, ছয় রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন। রাইফেল দুটি উদ্ধার হলেও রিভলবারটির সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৬২ জনকে। এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ১৭ জন ও সৈয়দপুরে ৪৫ জন রয়েছে।
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম জানান, জেলা শহরের বাটার মোড়, শহীদ মিনার, চৌরঙ্গী মোড়, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর ও পিটিআই মোড়ে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ সাংবাদিকসহ দুই উপজেলায় ২৫ জন আহত হন। এরমধ্যে আহত ১০ জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, সংঘর্ষ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে তিনটি মামলা করা হয়েছে। মামলাগুলোতে নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
পুলিশ বক্স, জিআরপি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন জানান, কোটা আন্দোলনে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করেছে। এখন পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেফতার হয়েছে দুই উপজেলার।
আহতদের মধ্যে ১৫ জন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ