তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে শেরপুর পৌর এলাকার গৌরিপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষে মারা গেছেন দুই যুবক। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, পৌর এলাকার মাঝখানে অবস্থিত গৌরিপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার হাজারও মানুষ এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মাইকে ডেকে লোকজন জড়ো করে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে দু’জন মারা যায়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
নিহতরা হলেন শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) ও একই মহল্লার দোলোয়র হোসেন মিন্টুর ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (২২)।
মিন্টু জেলা বিএনপি নেতা ও ছেলে শ্রাবণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক। মিজান শ্রমিক দল নেতা। মিজান ঘটনাস্থলে মারা গেলেও শ্রাবণ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দু’জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা নামাজ শেষে আবারও উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত তিন দিন আগে দুই এলাকার উঠতি বয়সি কিছু কিশোরের বিরোধকে কেন্দ্র করে। তবে কেউ কেউ বলছেন আধিপত্য বিস্তারের বিষয় এখানে থাকতে পারে।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী কেন্দ্র খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় দুই পক্ষের দোকান পাঠে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এলাকা দু’টি বিএনপি অধ্যূষিত। অভিযুক্ত দুই পক্ষই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।
তবে এলাকাবাসি বলছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই এলাকায় কয়েকদিন ধরে ব্যাপক ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে এর মিমাংসা হয়। ছোটখাট বিষয় নিয়ে ক’দিন পরপরই ওই স্থানে সংঘর্ষ লেগেই থাকে।
এদিকে, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যরা সংঘর্ষ এলাকায় টহল দেওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত।
নবনিযুক্ত শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেছেন, এসব কঠিন হস্তে দমন করার ব্যবস্থা চলছে। এনাফ এজ এনাফ, অরাজগতা করতে দেওয়া হবে না। দুর্বৃত্তপনা রূখতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত