গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে সেই ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম কারণ দর্শানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার বিকেলে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
অভিযুক্ত মো. মঞ্জু মিয়া উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা থেকে কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৩ মেট্রিক টন চাল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়ার অনুকূলে বরাদ্দ করা হয়। সেই চাল উত্তোলন করে বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ না করে তার নিজস্ব গুদাম ঘরে গুদামজাত করেছেন, যা আইন পরিপন্থি।
এতে আরও বলা হয়, বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দাকৃত জি,আর চাল যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য বলা হলো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ না করে গুদামজাত করে রাখার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে চাল উত্তোলন করেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মঞ্জু মিয়া। পরিষদে চালগুলো না রেখে কছিম বাজারের মো. জাহাঙ্গীর আলমের গোডাউনে রাখেন চেয়ারম্যান। বন্যা পার হলেও চালগুলো বিতরণ করেননি তিনি। এলাকাবাসীর ধারণা চালগুলো গোপনে বিক্রি করার জন্য চেয়ারম্যান গোডাউনে রেখেছেন। পরে সংবাদ পেয়ে গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। ৩০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা চাল সেখানে পাওয়া যায়। সেই চালগুলো গোডাউনসহ সিলগালা করে উপজেলা প্রশাসন। পরে চালগুলো বন্যার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম