বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশেন করবে ব্যতিক্রম সাংস্কৃতিক জোট এবং জাগ্রত মঞ্চের শিল্পীরা। এতে কাওয়ালী, গান, কবিতা ও অভিনয়সহ মোট ১৮টি পরিবেশনা থাকবে।
মঙ্গলবার 'জাগ্রত মঞ্চে'র আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বরে বিকাল সোয়া ৫টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। আগে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিলো না। এর আগে ঢাবিতে যখন কাওয়ালির আয়োজন করা হলে সেখানে স্বৈরাচারের দোসররা বাধা প্রদান করে। আমাদের আজকের এই আয়োজন মূলত সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
তারা আরো বলেন, যেহেতু ক্যাম্পাসে এটি প্রশাসনবিহীন একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থীর সন্ধ্যার পর বিছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করে এবং অপ্রাসঙ্গিক ও অশালীন কোনো কাজের দায়ভার আয়োজকরা নিবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজিব বলেন, কাওয়ালি মুসলিম কবিদের হাজার বছরের ইতিহাস বহন করে। এতোদিন ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমরা দেখিনি। আজ ক্যাম্পাসে এমন সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত লাগছে। আমি চাই এরকম সুস্থ সংস্কৃতি আমাদের দেশে ছড়িয়ে পড়ুক। আমি সবাই অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানাই।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা করা হবে। এবং অনুষ্ঠানে ধর্মীয় ড্রেসকোডের বিষয়ে কোনোরকম বাধা-নিষেধ থাকবে না বলে জানান আয়োজকরা।
বিডি প্রতিদিন/এএ