ফরিদপুরের সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রী জামিলা পারভিন কুমকুমের বিরুদ্ধে নতুন করে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নতুন খোঁজ পাওয়া এ সম্পদগুলো ক্রোক করেছে দুদক। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর তুহিন লস্করের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত আরো ৪ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এ নিয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্করের সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করলো দুদক। রবিবার জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফরিদপুরের দূর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ইমরান আকনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্করের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ঢাকার মিরপুরে বিজয় রাকিন সিটি প্রজেক্টে ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্লাট। যার দলিল মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং তার স্ত্রী জামিলা পারভিন কুমকুমের নামে গোপালগঞ্জের খাটারা এলাকায় ৬ তলা ভবন। যার দলিল মূল্য ৬ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ প্রদান করে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো: জিয়া হায়দার।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর দূর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুরের সাবেক এই ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রী জামিলা পারভিন কুমকুমের নামে ব্রাক ব্যাংকের ৩টি অ্যাকাউন্ট থেকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ টাকা জব্দ করে। এসময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও তার স্ত্রী নামে আয়করে প্রদর্শিত খুলনার খালিশপুরে ১ দশমিক ৮০৫ কাঠার উপর ৫ তলা বাড়ি, ফরিদপুরের কমলাপুরে ১২শ বর্গফুটের ১টি ফ্লাট, শহরের অনাথের মোড় এলাকায় ইউনাইটেড টাওয়ারে একটি ফ্লাট, গোপালগঞ্জে ১৩ শতাংশ জমি। যার দলিল মূল্য ৩ কোটি টাকা। এগুলো ক্রোক করে দুর্নীতি দমন কমিশন দূদক।
ফরিদপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন এর উপ পরিচালক রতন দাস জানান, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা তুহিন লস্করের জ্ঞাত আয় বহিভূত যেসব সম্পদ পাওয়া গেছে তা ক্রোক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।