ফেনীর মহিপালে ছাত্রহত্যার ঘটনায় দুই আওয়ামী লীগ নেতা ও এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উম্মে রুমা ও জেলা যুবলীগের সদস্য এখলাছ উদ্দিন খোন্দকার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেফতার কাউন্সিলর বাহার ছাড়া বাকি দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে আটজন নিহত হয়। এ ঘটনায় ৮টি হত্যা মামলাসহ ১৬টি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরদিন থেকে পলাতক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও ফেনী পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন বাহার। বুধবার রাতে তাকে ঢাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উম্মে রুমাকে গ্রেফতার করে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান।
ফেনী থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে কাউন্সিলর বাহারকে আটটি হত্যা মামলা ও বাকি দুজনকে ফেনী থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ছাত্র হত্যার আসামিদের গ্রেফতারে নিয়মিত অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই