নাটোরে ১১ বছর বয়সী এক কন্যা শিশুকে শ্লীলতাহানী করেন দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর শিশুটি লজ্জায় আত্মহত্যা করে। এই ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর দুই আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
রবিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে নাটোর সদরের মাঝদিঘা শিবপুর গ্রামের এক কন্যা শিশু বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে ভেড়াকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বেঁধে দিতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আতিকুর রহমানের পরামর্শ ও সহযোগিতায় অপর প্রতিবেশী কাদের আলীর ছেলে কাজেম আলী শিশুটিকে জাপটে ধরে শ্লীলতাহানী করে। ঘটনার সময় প্রতিবেশী এক নারী এই দৃশ্য দেখে ফেললে কাজেম আলী শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে শিশুটি দৌড়ে বাড়ি ফিরে লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা কাজেম আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কাজেম আলী ঘটনার সাথে আতিকুর রহমানের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। শিশুটির পিতা বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রায় ২০ বছর পর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানার টাকা শিশুটির পিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মুদ্রাক্ষরিক শামীম আহমেদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল