কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও দৌলতপুরে সাপের কামড়ে কৃষকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হলেও অ্যান্টিভেনম দেওয়ার সময় পাননি চিকিৎসকরা। দুইজনের মধ্যে একজনের বিষধর রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সাপের কামড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গরবপাড়া এলাকার মৃত নাহারুল ইসলামের ছেলে কালু হালসানা (৩৫) ও কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কৃষক কামরুজ্জামান প্রমানিক (৫০)।
বুধবার ভোরে কালু হালসানা ও দুপুরের দিকে মারা যান কামরুজ্জামান।
জানা গেছে, দৌলতপুরের গবরগাড়ার কালু ভোর ৫টার দিকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে আম কুড়াতে গেলে সাপ কামড়ে দেয়। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের কামরুজ্জামানের ভাতিজা সোলাইমান জানান, তার চাচা বেলা ১১টার দিকে চরের মাঠে কলাবাগান পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় সাপ কামড় দেয়। পরে কামরুজ্জামান সাপটিকে মেরে ফেলেন। পরে চিকিৎসার সুবিধার্থে সাপসহ তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় ৩০ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, একজনের রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপরজনের মৃত্যু সাপের কামড়ে হলেও তার মৃত্যু রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেরি করে হাসপাতালে আনায় কাউকেই অ্যান্টিভেনম দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ