বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে মা লাভলী বেগমকে (৪৫) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার চরচিংগড়ী গ্রামের খাল থেকে লাভলী বেগমে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাভলী বেগম চরচিংগড়ী গ্রামের মনছুর আলী শেখের মেয়ে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ লাভলী বেগমের মাদকাসক্ত ছেলে রাব্বি খাকী (২৫) তার মাকে হত্যা করে খালের কচুরিপনার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই মো. আফজাল শেখ জানান, বোন লাভলী বেগমের সাথে চিতলমারী উপজেলার শান্তিখালী গ্রামের আনোয়ার খাকীর সাথে প্রথম বিয়ে হয়। এই ঘরে ভাগ্নে রাব্বির জন্ম হয়। এরপর লাভলী বেগমের ডির্ভোসের পর বাগেরহাটের মনিরুজ্জামানের সাথে বিয়ে হয়। এ ঘরে লাভলীর সেরা (১০) ও লাবনী (৭) নামের দুটি মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্বামী মনিরুজ্জামানের মারা গেলে লাভলী তিন সন্তানকে নিয়ে আমাদের বাড়ির পাশে পরানপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। ছেলে রাব্বি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদককের টাকার জন্য প্রায়ই মাকে মারধর করত। গত ২০ মে রাত ৮ টার দিকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লাভলী বেগমের ছেলে রাব্বির ঝগড়া হয়। এরপর থেকে লাভলী বেগম নিখোঁজ ছিল। আমাদের ধারনা ২০ মে রাতে রাব্বি আমার বোন লাভলী বেগমকে হত্যা করে তাঁর লাশ কচুরিপনার নিচে লুকিয়ে রাখে। শনিবার দুপুরে চরচিংগড়ী গ্রামের মফিজুর রহমানের বাড়ির পাশে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করতে গেলে লোকজন ১১ দিন পর কচুরিপানার নিচে লাভলীর অর্ধ গলিত মৃতদেহ দেখতে পায়।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশৈ ঘটনাস্থলে এসে লাভলী বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকেই লাভলী বেগমের ছেলে রাব্বি পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছে নিহতের ভাই মো. আফজাল শেখ। মরদেগের ময়না তদন্তের জন্য বাগেড়রহাট ২৫০ বেড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম