নাটোরের বড়াইগ্রামে চাহিদামত যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে নির্যাতন ও ভরণপোষণ না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমরান হোসেন কালু নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতিত স্ত্রী মরিয়ম বেগম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
নির্যাতিত গৃহবধূ মরিয়ম বেগম জানান, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারী উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ইমরান হোসেন কালুর সঙ্গে দুই লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা মোহরানা ধার্য্য করে একই ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের মেয়ে সৌদি প্রবাসী মরিয়ম বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রবাস থেকে আনা নগদ দুই লাখ টাকা কালু কৌশলে হাতিয়ে নেন।
এর কিছুদিন পর কালু তার স্ত্রীকে আরো এক লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তাতে রাজি না হলে ভরণপোষণ দেয়া বন্ধ করাসহ মরিয়মের উপর নির্যাতন নেমে আসে। এক পর্যায়ে ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর মরিয়ম বেগম কালুর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে স্ত্রীকে ভরণপোষণ দেয়ার শর্তে লিখিত দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কালু তার স্ত্রীকে দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়। কিন্তু বাড়িতে এসেই কালু পুনরায় তাকে ভাত-কাপড় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নির্যাতন শুরু করে। বাধ্য হয়ে গত ২৬ মে মরিয়ম পুনরায় আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন কালু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগ সঠিক নয়। সে আদালতে গিয়েছে, আমার কোনো দোষ থাকলে সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল