র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, দুইদিন আগে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ভিডিওতে দেখা গেছে, নদী থেকে গরু নামিয়ে অন্য হাটে নেওয়া হয়েছে। এখানে কোরবানির ঈদের সময় অনেক ছোট ছেট হাট হয়। সেখানে গরু কম থাকে। নদীপথে কিংবা সড়ক পথে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু দুষ্কৃতকারী তাদের হাটে গরু বৃদ্ধি করার জন্য নিজেদের হাটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ব্যবসায়ীরা যদিও সেটা চায় না।
মঙ্গলবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলের বালুর মাঠ হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুলিশ ও আমরা একসাথে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে গরুগুলো উদ্ধার করে ব্যবসায়ীদের কাঙ্ক্ষিত হাটে নিয়ে আসা হয়েছে। এর সাথে যারা সম্পৃক্ত, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আপনারা আমাদের কাছে আসুন বা থানায় যান। মামলা করেন, তাহলে এদের শনাক্ত করতে আমাদের সুবিধা হয়। আমরা এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জেনেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখি, এ ধরনের ঘটনায় কোনো অভিযোগ হয় না। আমরা এ ঘটনাটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে আমার টিম সেখানে গিয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আমরা ফুটেজের মাধ্যমে তাদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক আরও বলেন, আমাদের বেশিরভাগ হাটে সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে। ঈদের আগে রাস্তায় ঘরমুখো মানুষকে নিরাপত্তার জন্য পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঈদের জামাত ও মহাসড়ক কেন্দ্রীক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আমরা কাজ করবো। এর পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও অতিরিক্ত ইজারা আদায়সহ সমস্যাগুলো সমাধান করতে আমাদের সাপোর্ট টিম হাটগুলোতে কাজ করছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সাপোর্ট সেন্টারে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই