টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানিকগঞ্জের নিম্নআয়ের মানুষ। শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও আশপাশে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় লোকজন প্রয়োজনের তাগিদে হেঁটে পার হচ্ছেন জলাবদ্ধ রাস্তাগুলো।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় যানবাহন, রিকশা এবং হ্যালোবাইকের সংখ্যা কমে গেছে। যেগুলো চলছে, তাতে ভাড়া কয়েকগুণ বেশি। ফলে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
প্রতিবন্ধী কলা বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে বসে থাকলে তো চলবে না। কলা বিক্রি করেই বাজার করতে হয়। কিন্তু কয়েকদিন ধরে বেচাবিক্রি নেই, কলা পঁচে যাচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা, গাড়ি ভাড়াও উঠছে না। আমি একটি পা হারিয়েছি, কিন্তু কখনো ভিক্ষা করিনি। কলা বিক্রি করেই সারা জীবন বাঁচতে চাই।’
বৃদ্ধ রিকশাচালক জামাল মিয়া বলেন, ‘তিন দিন হলো রিকশার ভাড়ার টাকাও তুলতে পারছি না। মহাজন খারাপ ব্যবহার করে। তাই বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৭০ টাকা আয় হয়েছে। কিস্তির টাকা তো রয়েছেই, জানি না কী হবে।’
এদিকে কৃষি শ্রমিকদেরও দেখা গেছে কর্মহীন অবস্থায়। তারা বলেন, ‘গাঁইটের (হাতে থাকা) টাকা ভেঙে খাচ্ছি। কুড়িগ্রাম থেকে কাজের জন্য এসেছি, কিন্তু কেউ নিচ্ছে না। জানি না আর কয়দিন বসে থাকতে হবে।’
আবহাওয়ার এমন অব্যাহত দুর্যোগে কাজ ও আয়ের অভাবে চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন মানিকগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষ।
বিডি প্রতিদিন/আশিক