ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে শিশু ও আইনজীবীর সহকারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো, সদর উপজেলার সুতি দূর্গাপুর গ্রামের খোন্দকার সুরুজ মিয়ার দুই বছর বয়সী শিশু কন্যা সাদিয়া খাতুন ও কালীগঞ্জ উপজেলার রাখাল গাছি ইউনিয়নের মোল্লাকোয়া গ্রামের মৃত ইউসূফ আলীর ছেলে কোর্টের আইনজীবীর সহকারী হাসিবুল হাসান জনি (৪০)।
নিহতের স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ঘরের মেঝেতে পিতা ও মায়ের সাথে শিশুটি মশারি মধ্যে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ শিশুর মায়ের পায়ে ঠান্ডা অনুভব হলে সুরুজ মিয়াকে জানান। তড়িঘড়ি করে উঠে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান মশারির মধ্যে সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সবাইকে তারা ডাক দেন। সেই সময় তারা এসে সাপ মারতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সাপটি ফ্রিজের ফাঁকে চলে যাওয়ায় মারা সম্ভব হয়নি।
এরপর শিশু সাদিয়া অসুস্থ অনুভব করলে পার্শ্ববর্তী মসজিদের হুজুরের কাছ নিয়ে হাত চালান দিয়ে দেখেন সাপের বিষ নেই। এরপর বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তালসার গ্রামে পল্লী চিকিৎসক নেয়ামুলের নিকট নিয়ে যান। নেয়ামুল নেবুলাইজার দিয়ে অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরক্ষণে ওই গ্রামের সাপের বিষ নামানো এক ওঁঝা বাহার আলীর কাছে নিয়ে গেলে তিনি দেখার পর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সর্বশেষ সকাল ৬টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম মাহবুব জানান, সাদিয়া নামের সাপে কাটা শিশুকে হাসপাতালে সকাল পৌনে ৬টার সময় নিয়ে আসেন রোগীর স্বজনেরা। ওই সময় আমরা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
অন্যদিকে, আইনজীবীর সহকারী হাসিবুল হাসান জনিকে গভীর রাতে সাপে কামড় দেয়। প্রথমে স্বজনেরা স্থানীয় ওঁঝার কাছে নিয়ে যান। এরপর কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে এন্টিভেনাম প্রয়োগের পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। স্বজনেরা যশোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
শিশুর সাপে কাটা ঘটনা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। আর আইনজীবীর সহকারীর সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি সফিকুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/কেএ