সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ, চলাচলে মারাত্মক সমস্যার, কোথাও কোথাও রাস্তা এতটাই খারাপ যে, পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার অধিকাংশ সড়ক।
স্থানীয়রা অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কগুলোর কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। তার ওপর বর্তমানে বর্ষাকাল। ফলে বৃষ্টির পানি গর্তে জমে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। বিশেষ করে নাসিরনগর থেকে মাধবপুর পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক সড়কটি যেন এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলেও বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। গর্তে পড়ে যানবাহন উল্টে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
জানা যায়, এলজিইডির আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বর্তমানে ভারী যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি, অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের একমাত্র ভরসা হলেও পথচারীদের জন্য তা হয়ে উঠেছে প্রাণঘাতী। সড়কের কার্পেটিং তো নেই-ই, পাথর, খোয়া ও বালিও অনেক জায়গায় উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে পানি জমে দীর্ঘদিন শুকায় না। ফলে যানবাহন চলছে হেলেদুলে, ঝুঁকি নিয়েই। উপজেলার নুরপুর, চৈয়ারকুড়ি, শ্যামপুর, বেলুয়া, নরহা ও হরিণবেড় এলাকার অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পূর্বভাগ থেকে কোয়ারপুর পর্যন্ত সড়কটিতে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সিএনজি, রিকশা ও মাইক্রোবাসে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিদিনই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ নিয়মিত যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কেউ কেউ রসিকতা করে সড়কটির নাম দিয়েছেন ‘কোমর ভাঙা রোড’।
ভুক্তভোগীরা বলেন, রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে আমাদের প্রাণ হাতে করে বের হতে হয়। অথচ কেউ দেখারও নেই। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রুত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা বলেন, রাস্তাটি পূর্ণ সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
ব্রাহ্মণবড়িয়া নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরীন জানান, বিষয়টি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের জন্য চিঠিপত্র পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ