খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে রাঙামাটির কাপ্তাই হৃদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে মহালছড়ি উপজেলার সিলেটি পাড়া, চট্টগ্রাম পাড়া, ব্রীজ পাড়া, কেয়াং ঘর এলাকার ঘর বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ঘরে পানি ডুকে পরায় ভোগান্তিতে পরে স্থানীয়রা।
এছাড়া পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে স্থানীয়রা। অনেকে নৌকায় করে চলাচল করছে। বেশি ভোগান্তিতে পরেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ লালন বলেন,গত চার দিন আগে ঘরে পানি উঠেছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এছাড়া উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে পানি নামায় আমাদের ভোগান্তি বেড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম পাড়ার বাসিন্দা মো.হোসেন আলী বলেন, কাপ্তাই লেকের পানি বাড়ার কারণে আমাদের পুরো পাড়ার বেশ কয়েক ঘরে পানি উঠেছে। আমার বাড়ির উঠান পর্যন্ত পানি উঠেছে। লেকের পানি বাড়লে ঘরের ভেতরে পানি ডুকার আতংকে আছি।
এদিকে সড়ক ডুবে যাওয়ায় মুবাছড়ি ইউনিয়নের সাথে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মুবাছড়ি সড়কে স'মিল পাড়ায় সড়কের একাধিক অংশ ডুবে গেছে। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা রত্ন উজ্জ্বল চাকমা বলেন, প্রতিবছরই সড়কের কাছাকাছি পানি আসলেও এবার সড়ক ডুবে গেছে। পানি কমছে না। স্থির অবস্থায় রয়েছে। মুবাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা জরুরি কাজে নৌকায় করে চলাচল করছেন। সড়কটির অনেক অংশ ভেঙে গেছে। ভবিষ্যতে সড়কের উচ্চতা বাড়িয়ে যদি পুর্ণনির্মাণ করা হয়। সেক্ষেত্রে জনভোগান্তি কমবে।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবু রায়হান জানান, কাপ্তাই লেকের পানি না কমায় সদর ও মুবাছড়ি ইউনিয়নের ব্রীজ পাড়া,কাপ্তাই পাড়া,সিলেটি পাড়া,চট্টগ্রাম পাড়ার প্রায় দুইশ পরিবার পানিতে ডুবে গেছে। পানি বন্দি দুইশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মহালছড়ি দাখিল মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্রে ১২টি পরিবারে ৩৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে।
মেজর মোঃ মোস্তাফিজ জানান, বিগত কয়েকদিনে যে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে তাতে ক্ষতিগ্রস্তদের খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পক্ষ থেকে মহালছড়ি সেনা জোন ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা করছে।
মহালছড়ি ইসলামিয়া মাদ্রাসায় একটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে । এতে দশটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী তাদের রান্না করা খাবার দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল