বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের ভোগান্তি ও হয়রানির প্রতিবাদে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক সাত ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে তারা।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের তিন দফা দাবিতে গত ১১ দিন ধরে ছাত্র-জনতার ব্যানারে নগরীতে নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা।
বিক্ষোভে বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের দূরপাল্লার রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কের দুই প্রান্তে বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল পলিটেকনিক কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আব্দুল্লাহ কাফিসহ সাধারণ মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে জুমার নামাজ আদায় করেন।
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির শিকদার বলেন, বেলা ১১টায় ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকালে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রতিনিধিরা এসে বিক্ষোভকারীদের তাদের নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এতে সাড়া দেননি। বিকেল ৬টার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কারণে মানুষ চিকিৎসা পায় না। স্বাস্থ্যখাতের এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এছাড়া ১২তম দিনের মতো সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চললেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কিংবা আলোচনায় বসেনি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে এই ব্লকেট কর্মসূচি চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল