ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে আমাদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনের নয় দফা ছিল অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, যা জুলাই ঘোষণাপত্রে আসেনি। যার ফলে আমার কাছে মনে হয়েছে গতি, প্রকৃতি, কৌশলগুলো অনেকটাই অবজ্ঞা করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজ প্রশাসন ভবনের সামনে ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের শহীদ রায়হান আলীর প্রথম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, আমরা জুলাইয়ের চেতনার ক্ষেত্রে সবাই এক আছি। তবে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার সময় আমাদের মধ্যে বিভাজন চলে আসে। এই দিকটা শুধরে নিতে পারলে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আমরা আরও সুন্দর ও গোছানো একটি ঘোষণাপত্র চেয়েছিলাম। এখানে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান ছিল, সাংবাদিকদের অবদান ছিল, অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের অবদান ছিল। সেই ছোট ছোট বিষয়গুলো এখানে উঠে আসেনি। আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দরকার ছিল। আরও পূর্ণাঙ্গ হলে এটি জুলাইকে ধারণ করার ক্ষেত্রে ভালো হতো।
তিনি বলেন, সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে—সেটা খুবই মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে বিচার করবে। সত্য প্রকাশে যদি এভাবে হত্যা হতে হয় তাহলে সাংবাদিকরা তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারবে না। আমরা চাইব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে কে বা কারা এর পেছনে আছে তা বের করে জাতির সামনে প্রকাশ করা হোক।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জুলাই বিপ্লবের শহীদ রায়হান আলীর পিতা মুসলেম উদ্দিন, শহীদ সাকিব আনজুমের পিতা মাঈনুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরীর জামায়াতের আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, শিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগর সভাপতি শামীম উদ্দিন ও মহানগর সেক্রেটারি ইমরান নাজিরসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রত্যয় শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ‘রক্তে দ্রোহের গান’ পরিবেশন করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল