ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপই ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে অনেক ক্রিকেটারের। এই তালিকায় রয়েছে ক্রিস গেইল, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মহেদ্র সিং ধোনির মতো বড় বেশ কিছু নাম। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
মাশরাফি বিন মর্তুজা: বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টারের ফাইনাল খেলে। শুধু তাই নয়, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে দেশ ও দেশের বাইরে সাফল্য দেখিয়েছে। ৩৬ ছুঁই ছুঁই মাশরাফি বিশ্বকাপের পর অবসরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। দেশের হয়ে ২০৬টি ওয়ানডে খেলে মাশরাফি নিয়েছেন ২৬২ উইকেট। এছাড়া ব্যাট হাতে তার দুই হাজারের কাছাকাছি রান রয়েছে।
ইমরান তাহির: বয়স ৪০। এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার। ৩২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলে সুয়োগ পান এই লেগ ব্রেক বোলার। ২০১১ সালে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। এরপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ৯৮টি ওয়ানডেতে ১৬২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ক্রিস গেইল: ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সফল ক্রিকেটার। বিশ্বের অন্যতম বিধ্বংসী ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৮ হাজারেরও বেশি রান আছে তার। এক দিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে তার দখলে। বয়স ৩৯। এটাই সম্ভবত তার শেষ বিশ্বকাপ। ২৮৮টি ওয়ানডে খেলা গেইলের দখলে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি রান।
শোয়েব মালিক: ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের। দলের হয়ে অনেক ম্যাচে উইনিং পারফরম্যান্স রয়েছে তার। দেশের হয়ে ২৭৬টি ওডিআই খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিজ্ঞতা এই বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ৩৭ পেরিয়ে যাচ্ছেন শোয়েব। এটাই সম্ভবত তার শেষ বিশ্বকাপ।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: ক্যাপ্টেন কুল নামেই ক্রিকেট মহলে পরিচিত। বয়স এই মুহূর্তে ৩৮। তার নেতৃত্বে ভারত ২০১১ সালে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে। টেস্ট থেক অবসর নিলেও বাকি ফরম্যাটগুলোতে এখনও খেলছেন ধোনি। এখন পর্যন্ত ৩৪১টি ওডিআই খেলেছেন। রান ১০ হাজারেরও বেশি। সর্বোচ্চ স্কোর ১৮৩।
মোহম্মদ হাফিজ: এই বিশ্বকাপের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। বয়স ৩৮। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। দেশের হয়ে ২০৮টি ওয়ানডে খেলেছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। রান করেছেন ৬ হাজারের ওপর। উইকেট নিয়েছেন ১৩৭টি।
লাসিথ মালিঙ্গা: বয়স ৩৫। সম্ভবত এটাই শেষ বিশ্বকাপ শ্রীলঙ্কার এই ডানহাতি পেসারের। তার অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন এবং ইয়র্কার গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ। ২১৩টি ওডিআই খেলে ৩১৮টি উইকেট নিয়েছেন। ৩০টি টেস্টে ১০১টি উইকেট এবং ৭০টি টি-টোয়েন্টিতে ৯৪টি উইকেট রয়েছে তার।
বিডি-প্রতিদিন/১১ মে, ২০১৯/মাহবুব